©Itssm96 Photography
fb.com/Itssm96Photography
Saturday, 27 February 2016
Wednesday, 24 February 2016
Wednesday, 27 January 2016
Sunday, 22 November 2015
নীল বন্ধু
এই চাঁদের হাটে কলঙ্ক রটে যাবে সেইদিন! প্রেমপূজারী কেউ যখন বিদেয় হবে অন্য কোথাও,অন্যকোন গল্পে।সারাটি জীবন আমাকে একাকীত্ব থেকে দুরে ঠেলে রাখা মেয়েটা সেদিন একলা হবে।এমনি রাত দূর করা চাঁদের হাটে সেদিন ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরে উঠবে শোকের উঠোন।নিরব কোলাহলে চুপটি একা থাকা হবে কি কারো?
উঠোনজুড়ে বসবে আসর,
কাঁদবে বধূ ভাঙবে বাসর
আর সেই আমি জীবন্ত সজীবতা প্রয়ানে পঁচবো বৈকি! তবুও এই জোছনার দোহাই দিয়ে রাত কাটিয়ে দেয়া যাবে। হাজার-সহস্র রাতের গল্পকথা একনিমিষে উড়াল দেবে অন্যকোন বন্দরে...
নীল বন্ধু এই চাঁদে প্রেম নেই! সত্যি বলছি বিশ্বাস করো কেমন যেন সম্মোহন সম্মোহন লাগে আমার! এ যেন মরণ নেশা! আর কোন একদিন একলা হবার গল্প কোন এক নববধূ'র...
Sunday, 11 October 2015
প্রণয়িনী
কে লিখে সেই ডায়েরী সেখানে আকন্ঠ নিমজ্জিত শূণ্যতা! সপ্তডিঙা পার হয়ে এখানে কেউ বৃষ্টি ভেজা ঝাপসা বিকেলের সুযোগ খোঁজে না। শূন্যতাকে পুজি করে শূন্যতা বিলি করে একলা থাকার মতন অভিপ্রায় আর কোথায়...
জোয়ারের টানে তলিয়ে বিলিয়ে না দিয়েও আমি-তুমি অন্যরকম অস্পৃশ্য সেও কি কম থেকে সহস্রকর প্রণয়িনী? ওলট-পালট করে দেয়া এইসব সভ্যতার ভব্যতায় সে অথবা অন্যকেউ না হয় আড়ালেই বাসে! ;-) কি হয় তোমার? যা কিছু সব বিলীন হয় অথবা কুলীন সেই সব বিকেল আর রাত্রিচরী উপাখ্যান!
আলো-ছায়ার ক্ষিপ্রতাসম্পন্ন যে আলোকচ্ছটা তাহার যে কারুকার্য কোথা হতে তার উৎপত্তি অথবা অন্ধকারের আধেক তাহা সকলের গোচর না হওয়াই সমীচিন :-)
fb/itssm96
Saturday, 3 October 2015
"আয়না কথন"
রাত গভীর হলে যখন খোলা জানালায় নিথর-নিস্তব্ধ ঝিঝি পোকা ঘুমিয়ে যায়,আমি তখন পথে নামি।
চারদিক নিস্তব্ধ,রাস্তার কুকুরগুলি ও তাদের নিত্যদিনের কর্মব্যস্ততা ভুলে যায়,কারও কারও সাদা-কালো দিনগুলি রাতে রঙীন হয়ে উঠে।মাঝ রাস্তায় আসতেই মাঝে মাঝে উচুতলার বাড়ীগুলো থেকে হাসির শব্দ ভেসে আসে।তেমনি এক হাসির মুহূর্তে কোন এক বাড়ীর সম্মুখে থেমে গিয়েছিলাম আমি! বলেছিলাম ভূত! ভূত! আরও খিলখিলিয়ে হেসে উঠেছিল সে!
তারপর আচমকা আলোর ঝলকানিতে সে থেমে গেল অপ্রস্তুতের মত।আমি নিঃশব্দে বলেছিলাম, শ্রাবণী! বুকের বসন হারালো কোথায়! সলজ্জ মুখটি ঢাকলে অন্ধকারে! তারপর কত রাত আমি হেটেছি,পায়চারী করেছি,ছুটেছি নিথর পায়ে এদিক-সেদিক! রাস্তার কুকুরগুলির সাথে পরিচয় পর্ব সেরেছি,ওরা এখন আর আমাকে দেখে বিরক্ত হয়না।আমি রাত্রীর যাত্রী দীর্ঘ অমানিশা দুপায়ে মাড়িয়ে হাতড়ে ফিরেছি সেই নির্মল হাসির উৎস।আর বলেছি মনে মনে,কেন এ ক্ষণিক প্রলয়! নিস্তব্ধ নিরব রাতে যখন কারও আকাঙ্খিত রিংটোন বেজে ওঠে,তখন আমি জানালার কাছে গিয়ে দাড়াই;গৃহ অভ্যন্তরে হয়ত কোন এক শ্রাবণী তখন ঘুমদেশে রাতের তাঁরা গুনে,ছড়া কেটে ঘুম পাড়ায় তার রাজকুমারকে! আমি আবার ফিরে আসি।নিজের ডেরায় ফিরে ক্লান্ত হতে ভুলে যাই,দেয়ালে টাঙানো একটুকরো আয়নার বায়নায় নিজেকে রঙ্গমঞ্চের শিল্পী মনে হয়।হাসছি-কাঁদছি,ছুটে চলেছি,গেয়ে চলেছি, ভেতর থেকে কলকাঠি নাড়ছে নাট্যকার।
আমি শুধাই, এই নটী-নাট্য কার? আয়নার সাথে ফিসফিস করে কথা বলি।আমার আবেগ-অনুভূতিগুলো বোঝে ও,কত সুন্দর করে অনুবাদ করে।
আমি অবাক হই,আমার চোখে চোখ রেখে ও কথা বলে!
পাদটীকাঃ কোন এক শ্রাবণে যখন ভিজে ভিজে গায়ে কাঁদা মাখিয়ে ঘোর অন্ধকারে কেউ ঘরে না ফিরে ছুটে চলতে চায়,কোন এক শ্রাবণী এসে তাদের থামিয়ে দেয়! তারপর নিরুদ্দেশ...শ্রাবণীরা নিজে অঝোর ধারায় ঝরে ঝরে কাউকে থামিয়ে দেয় সবার অজান্তে...